গণধর্ষণের পরে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় আরো ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গণধর্ষণের পরে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় আরো ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুর গঙ্গাচড়ায় গণধর্ষণের পরে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় আরো ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩।
'বাংলাদেশ আমার অহংকার'- এই মূলমন্ত্রকে বুকে ধারণ করে এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন চাঞ্চল্যকর হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
বাদী কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহারসূত্রে জানা যায় যে, গত ৯/৬/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বেলা অনুমান ১২:৩০ ঘটিকায় ভিকটিম রান্নার জন্য পাটশাক সংগ্রহের জন্য তার শ্বশুরবাড়ি থেকে অনুমান ১০০ গজ দূরে পাটক্ষেতে গেলে সেখানে ধৃত আসামীসহ এজাহারে বর্ণিত অন্যান্য আসামীরা মিলে ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে ও ধর্ষণের ভিডিও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ধারণ করে এবং আসামীগণ উক্ত ঘটনার বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য ভিকটিমকে জীবননাশের হুমকিসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। চক্ষুলজ্জার ভয়ে ভিকটিম উক্ত ঘটনার বিষয়টি গোপন রাখলে আসামীগণ বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য কু-প্রস্তাব দিত।
এরই একপর্যায়ে গত ০৭/০৭/২০২৫ খিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় ৫নং আসামী (ভিকটিমের শশুর) স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন ও চৌকিদারকে নিয়ে তার বাড়িতে উঠান বৈঠকের আয়োজন করে এবং উঠান বৈঠকে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কোন প্রকার সিদ্ধান্ত প্রদানে ব্যর্থ হন। অতঃপর ৫ নং আসামী ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও আত্মহত্যা করার কথা বলে। এরইপ্রেক্ষিতে গত ০৮/০৭/২০২৫ খিঃ তারিখ ৫ নং আসামী তার পূর্ব দুয়ারী টিনশেড শয়নঘরে ভিকটিমকে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এবং ভিকটিমের হাতের মুঠোয় কিছু ট্যাবলেট দেখতে পায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সকাল অনুমান ০৮:৪০ ঘটিকায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফীসহ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯/২২২, তারিখ-০৯/০৭/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ৯(৩) তৎসহ পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১), ৮(২) তৎসহ ৩০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
বিষয়টি নিয়ে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়া এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সদর কোম্পানী, রংপুর এর একটি আভিযানিক দল ইং ০২/০৮/২০২৫ তারিখ রাত ০২.৪৫ ঘটিকার সময় রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন ৮নং ওয়ার্ডস্থ মুলাটোল এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার বর্ণিত মামলার পলাতক আসামী মোঃ আজিজুল ইসলাম (২১), পিতা-মোঃ মমিন মিয়া, সাং-পূর্ব রমাকান্ত, গাউছিয়া বাজার (গজঘন্টা), থানা-গংগাচড়া, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ থাকে যে, র্যাব-১৩ গত ৩০/০৭/২০২৫ তারিখ ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার বর্ণিত মামলার পলাতক আসামী মোঃ জুয়েল মিয়া (২২), পিতা-মোঃ আবুল কালম, সাং-পূর্ব রমানান্ত, গাউছিয়া বাজার (গজঘন্টা), থানা-গংগাচড়া, জেলা-রংপুর’কেও গ্রেফতার করেছিলো।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স